বেস্ট ফ্রেন্ড এর বোন যখন গির্লফ্রেন্ড
জান্নাত দেখতে পেল টেবিলের উপর একটা চিঠি পড়ে আছে। জান্নাত দৌড়ে গিয়ে চিঠিটা উঠিয়ে খুলে চিঠিটা পড়তে অবাক হয়ে গেল। চিঠিতে লেখা ছিল...
প্রিয় জান্নাত,
পারলে আমাকে মাফ করে দিও। সত্যি আমি অনেক বড় স্বার্থপর এবং বেইমান। তোমাকে ভালোবাসার কোন অধিকারই আমার নেই। আর তাই আমি চলে যাচ্ছি। আর কোনদিন তোমার সামনে আসব না। পারলে আমায় মাফ করে দিও। তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। ভালো থেকো সুখে থেকো আর নতুন করে জীবন শুরু করো।
ইতি,
তোমার হৃদয়
চিঠিটা পড়ে জান্নাত আর কান্না থামাতে পারল না। খুব জোর কান্না করছে। (হৃদয় তুমি আমাকে এই চিনলা? তোমাকে আমি এত ভালবাসলাম! কে রাগের মাথায় একটা কথা বলে ফেলছি আর তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে। তুমি ভাবলে কিভাবে তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো? আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না তুমি জানো না? কেন তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে? প্লিজ ফিরে আসো হৃদয়) খুব কান্না করছে আর বলছে। পাগলিটার কি দোষ বলেন সত্যিই যে দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু নিয়তির কাছে তাদের ভালোবাসা হেরে যাচ্ছে। জান্নাত হৃদয়ের এভাবে ছেড়ে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না আর তাই জান্নাত অনেকগুলো ঘুমের ঔষধ একসাথে খেয়ে ফেলে। জান্নাতের অবস্থা খুবই খারাপ। বাসায় জান্নাতের পাগলামি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সবাই তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জান্নাত এখন অপারেশন থিয়েটারে আছে ডাক্তাররা জান্নাতের চিকিৎসা করছে। অনেকক্ষণ চিকিৎসা করার পর ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে বাসার সবাই কে বলল...
–পেশেন্টের অবস্থা অনেকটা খারাপ। স্টোমাক ওয়াশ করা হয়েছে এখন বাকিটা আল্লাহর উপর।
–কি বলছেন ডাক্তার? আমার মেয়েটাকে যে করে হোক সুস্থ করে তুলতে হবে ডাক্তার (মিমের বাবা)
–দেখেন আমি আমার বেস্ট ট্রাই করবো। কিন্তু বাকিটা আল্লাহর হাতে। আপনারা সবাই আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।
এটা বলে ডাক্তার চলে যায়। এদিকে বাসার সবাই প্রচুর কান্না শুরু করে। সবার অনেক আদরের মেয়ে মিম। সবার ছোট মেয়েটা আর অনেক চঞ্চল। তাই সবাই মিমকে অনেক ভালোবাসে। মীমকে এখন আইসিইউতে রাখা আছে। তিন ঘণ্টা পর আই সি ইউ থেকে একটা নার্স বেরিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলে...
–আপনাদের মধ্যে হৃদয় কে?
–কেন কি হয়েছে? (ইব্রাহিম)
–পেশেন্ট বারবার হৃদয়ের নামটা বলছে। যদি পারেন হৃদয়কে একবার রুমে পাঠিয়ে দিন হয়তো পেশেন্ট সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
–ঠিক আছে নার্স আনার চেষ্টা করব। (ইব্রাহিম)
ইব্রাহিম মনে মনে ভাবছে (মা-বাবাকে এখন আমি কি জবাব দিব? মা-বাবাকে আমি কিভাবে বলবো যে আজ মিমের এ অবস্থার জন্য হৃদয় দায়ী। আজ আমার বোনটা হৃদয় কে ভালবেসে বলে এই অবস্থায় পতিত হয়েছে।)
মা-বাবাকে উল্টা পাল্টা কিছু বলে ইব্রাহিম ম্যানেজ করে নেই। তারপর ইব্রাহিম হৃদয়কে অনেক ফোন করে কিন্তু লাইনে পায়না। কারণ হৃদয় ইব্রাহিম এর কথা রাখতে গিয়ে নিজের ভালবাসাটাকে বিসর্জন দিয়ে নিজেকে একা করে নিয়েছে।জান্নাত ছেলেটার সাথে কোন ভাবে যোগাযোগ করতে না পারে তার জন্য হৃদয় তার সব যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ইব্রাহিম কিছুতেই আর হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা। এভাবেই বেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। হৃদয় এখন অনেক একা। হৃদয় আর কারো সাথে ঠিকভাবে কথা বলে না ঠিক ভাবে চলাফেরা করে না ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করে না। দিনে দিনে নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে হৃদয়।
একদিকে হৃদয় নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে অপরদিকে জান্নাত হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
অনেক কষ্টের জান্নাতকে ধীরে ধীরে সুস্থ করে তোলা হয়। জান্নাত এখন অনেকটা সুস্থ। আর নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে নিয়েছে। জান্নাত আর হৃদয়ের কথা ভাবে না। হয়তো হৃদয়ের চলে যাওয়াতে জান্নাত তাকে ভুলে যাওয়ার কারণ খুঁজে পেয়েছে। ধীরে ধীরে জান্নাত হৃদয় কে একেবারে ভুলে যায়। কিন্তু হৃদয় কিছুতেই জান্নাত কে ভুলতে পারেন।
যাই হোক দেখতে দেখতে দিনের পর দিন কেটে যায় মাসের পর মাস কেটে যায়। অনেকটা সময় পেরিয়ে যায় দুজন দুজনকে ছাড়া কাটিয়ে দেয়। ইব্রাহিম এখন ঢাকায় আছে কিন্তু জান্নাতে অবস্থা হৃদয় কে জানাই নি। কারণ ইব্রাহিম ভেবেছে (যার জন্য আমার বোন মরতে বসেছিল তাকেই কাজের সময় পাশে পায়নি তাকে কেন আমার বোনের কথা বলব। এর চেয়ে সে আমার বোনকে ভুলে থাক এটাই ভালো। আর আমার বোনটাও হৃদয় কে ভুলে গেছে। আর তাই নতুন করে তাদের মধ্যে আবারও ভালোবাসার বীজ বপন করতে চায় না)
হৃদয় ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে। হৃদয় লেখাপড়ার পাশাপাশি একটা জব করে। জবটা একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে আর তাই হৃদয় কে একটু পরিশ্রম করতে হয়। দেখতে দেখতে একটি বছর পেরিয়ে যায় জান্নাতের সাথে হৃদয়ের আর কোন যোগাযোগ হয় না। একদিন অফিস শেষে হৃদয় বাসায় ফিরে ফ্রেশ হতে যাবে হঠাৎ এমন সময় তার ফোনটা বেজে উঠলো..
–হ্যালো হৃদয় তুই কোথায় আছিস? (ইব্রাহিম অনেকটা আতঙ্কিত কন্ঠে বলল। তখন হৃদয় অনেক ভয় পেয়ে যায় ইব্রাহিমের এমন কন্ঠ শুনে।)
–কি হইছে দোস্ত তোর কন্ঠটা এমন লাগছে কেন?
এরপর হৃদয় যা শুনতে পায় সেটা শোনার জন্য হৃদয় মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা।
–কি বলছিস তুই যাতা?
–দোস্ত এখন আমি কি করব? আমার বোনটা যে আর সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না (প্রচুর কান্না করতে করতে বলছে)
এটা শুনে হৃদয় বাসা থেকে এক দৌড়ে বেরিয়ে গাড়ি ধরে সিরাজগঞ্জ চলে যায়। সিরাজগঞ্জ গিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে যায়। হাসপাতালে কি কি দেখতে পায় জান্নাত একটা বেডে শুয়ে আছে। তার পাশে চাচা চাচি দাদা দাদি বসে আছে আর কান্না করছে। আমি কি বলব বুঝতে পারছি না। সত্যি আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমি ভাবতেও পারিনি আমার জান্নাতের সাথে এমনটা হবে।
[ আপনারা ভাবছেন জান্নাতের সাথে কি হয়েছে তাইতো?
আজ জান্নাতের গ্যাং রেপ হয়। হ্যাঁ আপনারা যা শুনেছেন সত্য। সত্যি আজ জান্নাতের সতীত্ব নষ্ট করে দেয় এলাকার বাজে কিছু ছেলে।]
হৃদয় জান্নাতের কাছে গিয়ে জান্নাতের হাতে হাত রেখে বলে..
–এসব কি করে হলো?(একটু ছল ছল নয়নে)
–...................(চুপ)
–কি হলো জান্নাত বলছো না কেন?
–...................(এখনো চুপ করে আছে)
–কি হলো জান্নাত কিছু বলছ না কেন? (একটু ধমক দিয়ে বললাম)
আমার সাথে কথা বলবে না?
–....................(আবারো চুপ)
–দেখো আমি অতীতে যা করছি তার জন্য তুমি আমাকে শাস্তি দিও কিন্তু প্লিজ এখন কথা বলো!!
–মিম কার সাথে কথা বলছে না বাবা (চাচা বলল)
–কেন কথা বলছে না চাচা?
–মেয়েটার সাথে যা হয়ে গেল এরপর কিভাবে মেয়েটা কথা বলবে? (দাদি কান্না করতে করতে বলছে)
–কিভাবে এতো কিছু হয়ে গেল আমাকে কেউ বলবে প্লিজ??
সুজন আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে হাসপাতালে ছাদে চলে যায়। তারপর সুজন বলে....
–ভাইয়া আমি বলছি কি হয়েছিল...
–তাড়াতাড়ি বল কি হয়েছিল...
তারপর সুজন হৃদয় কে বলতে লাগল কিভাবে এত কিছু হলো..
–আজ জান্নাতের কলেজ বন্ধ ছিল তাই আমি জান্নাত কে জোর করে আমার স্কুলে নিয়ে যেতে চায়ছিলাম। আর তাই মিম আপুকে নিয়ে আমি স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। মাঝে রাস্তায় যেতে দেখি কিছু বকাটে ছেলে রাস্তার পাশে বসে আছে। ছেলেগুলোকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তারা অনেক খারাপ অনেক বাজে। তারা অনেক বাজে বাজে কথা বলছিল। তারা বলছিল..
–ইস মামা কি খাসা মাল..
–হুম একদম। যদি একটা বার ছুঁতে পারতাম..
–উফ মামা ফিগার টা দেখেছিস!
–আরে পাছাটা দেখ না কি বড়।
–আমার তো মন চাইছে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি।
এমন আরও অনেক বাজে কথা বলছিল। মিম আপু এগুলো সহ্য করতে না পেরে ওই ছেলেগুলোর কাছে গিয়ে মিম জুতা খুলে একটি ছেলের গালে জুতার বাড়ি মারে আর বলে..
–তোদের ঘরে মা বোন নেই? জীবনে কোনদিন মেয়ে দেখিস নি? মায়ের দুধ খেয়ে বড় হোসনি? মেয়ে দেখলে জিভে তো লকলক করে কেন? কুত্তার বাচ্চা...
আপু এমন কথা শুনে ছেলেগুলো হঠাৎ করে বসা থেকে লাফ দিয়ে উঠে মিম আপুকে জোর করে ধরে উঠিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো। আমি ওদেরকে অনেক বাধা দেই কিন্তু আমি অনেক ছোট আর একা তাই ওদেরকে বাধা দিতে পারিনি। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মিম আপুকে নিয়ে ওরা চলে যায়। মিম আপু অনেক আকুতি-মিনতি করছিল..
–আমাকে ছেড়ে দে শয়তানেরা। ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।
তোদের ভালই ভালই বলছি আমাকে ছেড়ে দে...
–তোমাকে ছাড়বো তোর সোনা কিন্তু তার আগে আমাদের কাজটা তো হাসিল করে নেই।
মিম আপুকে টানতে টানতে ওই জানোয়ার গুলো নিয়ে যায় আমার চোখের সামনে দিয়ে। আমি কিছুই করতে পারিনি।তারপর মিম আপুকে একটি রুমের মধ্যে নিয়ে যায় এবং তারা সবাই মিলে মিম আপুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মিম আপুকে ওরা জানোয়ারের মত ছিঁড়ে খায়।
কথাগুলো বলতে বলতে সুজনের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল টপটপ করে। কথাগুলো শুনে আমার শরীরের লোম গুলো খাঁড়া হয়ে গেল। আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না.....
কথাগুলো বলতে বলতে সুজনের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল টপটপ করে। কথাগুলো শুনে আমার শরীরের লোম গুলো খাঁড়া হয়ে গেল। আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না। চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছে।আমি ছাদ থেকে নেমে জান্নাতের কাছে গেলাম। নিচে এসে দেখি আঙ্কেল-আন্টি ইব্রাহিম সবাই চলে এসেছে। সবাইকে একটু সাইড করে আমি জান্নাতের পাশে গিয়ে বসে জান্নাতের দুই হাত ধরলাম। আর বললাম....
–সত্যি তোমার সাথে অনেক খারাপ হয়েছে।আমি কোনদিন ভাবতেও পারিনি তোমার সাথে এমন কিছু হবে। প্লিজ নিজেকে ছোট করে দেখনা। তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো তাড়াতাড়ি ওই জানোয়ারদের শাস্তির ব্যবস্থা করব।
–ওরা অনেক খারাপ ওদের সাথে আমরা পেরে উঠবো না (চাচা)
–চাচা কোন চিন্তা করবেন না আমি আছি। আমি সবকিছু দেখে নেব।
–তুমি ওদের সম্পর্কে কিছু জানোনা।
–এইসব জানোয়ারদের সম্পর্কে আমি কিছু জানতেও চাইনা। আমি আইনের সাহায্য নিয়ে ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করব।
–কিন্তু পুলিশ...
–কোন কিন্তু না চাচা আমি সবকিছু দেখে নেব। ইব্রাহিম তুই আমার সাথে চল...
তাই বলে আমি ইব্রাহিম আর সুজন কে নিয়ে থানাতে চলে গেলাম। থানায় গিয়ে ওই জানোয়ারদের নামে কেস ফাইল করলাম।
পুলিশ গুলো আমায় বারবার বলছিল....
–আপনি যাদের নামে কেস করছেন তারা কে জানেন?
–তাদের সম্পর্কে আমার জানার কোন ইচ্ছা নেই। আমি শুধু এটুকু চাই আসামিদের সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
–এখন তো এসব কথা বলছেন কিন্তু আমার একটু পর এসে মত বদলাবেন না তো?
–দেখেন দারোগা সাহেব আমি যা করি ভেবেচিন্তে করি। আর আমি আমার কথা থেকে একটুও নড়চড় হবে না।
–আদালতে সঠিক প্রমাণ পেশ করতে পারবেন তো?
–অবশ্যই পারবো।
–আচ্ছা তাহলে আমরা কেসটা নিচ্ছি..
–ঠিক আছে দারোগা সাহেব। আর হ্যাঁ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি আসামিদের গ্রেফতার করবেন।
–ঠিক আছে। আপনারা এখন আসুন..
–ওকে দারোগা সাহেব।
তারপর থানা থেকে চলে আসি। হাসপাতালে আসতে সবাই আমাকে ধরে বলে....
–এমনি মেয়েটারই অবস্থা। সবার সামনে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে না আবার তুমি যা শুরু করলে হৃদয়....(আঙ্কেল)
–দেখেন আঙ্কেল আমি যা করছি একদম ঠিক করছি। আচ্ছা এখানে জান্নাতের দোষটা কোথায় আমাকে বলবেন?
জান্নাত কে নিজের ইচ্ছায় ধর্ষিত হয়েছে?
–.................(সবাই চুপ)
–কি ব্যাপার চুপ করে আছেন কেন জবাব দিন?
আমাদের সমাজে সবথেকে বড় সমস্যা কি জানেন! আমাদের সমাজে যে মেয়েগুলা ধর্ষিত হয় আমরা তাদেরকে ছোট করে দেখি আমরা তাদেরকে খারাপ বলি। আর যে জানোয়ার গুলো মেয়েদের সাথে এমন খারাপ কাজ করে তাদেরকে বাহ বা দেই। যেখানে আমাদের মেয়েটিকে মেন্টালি সাপোর্ট দেওয়ার কথা সেখানে আমরা মেয়েটিকে ছোট করে দেখি। মেয়েটিকে আমরা অপমান করি। আমরা ধর্ষিত মেয়েদের সমাজের বোঝা মনে করি। আচ্ছা মেয়েরা কি ইচ্ছা করে ধর্ষিতা হয়? মেয়েরা কি চায় তাদের সব থেকে মূল্যবান সম্পদ কেউ এইভাবে কেরে নেক? অথচ একটি মেয়ে ধর্ষিত হবার পর আমরা মেয়েটিকে দোষী সাব্যস্ত করি। আর ধর্ষক কে আমরা বড় করে দেখি। যদি আমরা একটি ধর্ষককে সঠিক বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারতাম তাহলে আজ ধর্ষণ তো দূরের কথা আমাদের সমাজে কোন ছেলে মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারতো না। কিন্তু আমাদের দেশে কি আমরা তাই করি? মোটেও করিনি..
বরং উল্টো আমি মেয়েদেরকে এমন এমন কথা শোনায় যার কারণে মেয়েরা তাদের অনিচ্ছা শর্তেও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় শুধু আমাদের সমাজের মানুষদের জন্য।
আমার কথাগুলো শুনে সবাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে।
আচ্ছা আপনারাই বলুন আমাদের সমাজে যে মেয়েগুলো ধর্ষিতা হয় তারা কি নিজ ইচ্ছায় ধর্ষিত হয়? তাহলে আমাদের সমাজে কেন ধর্ষিতা মেয়েদের পাশে দাঁড়ানো হয় না? কেন ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়া হয় না? আজ এই দেশে একটি ধর্ষকের সবার সামনে শাস্তি দেওয়া হোক দেখবেন এই দেশে আর দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ধর্ষণের কথা আপনি শুনবেন না।
সবাইকে অনেক বুঝিয়ে সবাইকে জানাতে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান করি। এখন সবাই মিলে জান্নাতের পাশে দাঁড়িয়ে আছি শুধু ধর্ষকদের শাস্তি প্রদানের জন্য।
কিছুক্ষণ পর কিছু গুন্ডা টাইপের ছেলেপেলে আমাদের কাছে এসে ছুরি রামদা পিস্তল এসব দেখে ভয় দেখাচ্ছে আর বলছে...
–যদি তোরা ভালো চাস আর তোদের মেয়েকে সুস্থ দেখতে চাস তাহলে কেস টা উঠিয়ে নে না হলে খুব খারাপ হয়ে যাবে...
–তোরা কি করতে পারিস আমি দেখে নেব! আমি আমার যথেষ্ট চেষ্টা করে তোদের শাস্তির ব্যবস্থা আমি করব।
–তোর সাহস তো কম না তুই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিস আবার আমাদের মুখের ওপর কথা বলছিস।
–তোদের মতো কুত্তার সাথে কথা বলতে আমার বয়েই গেছে। তোদের মতো কুত্তার দিকে তাকাতেই আমার ঘৃণা লাগে।
–কি বললি মাদার****
এটা বলে একজন হৃদয়ের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। হাসপাতালে মেঝে হৃদয়ের রক্ত দিয়ে মেখে একাকার হয়ে গেল। হৃদয়ের অবস্থা অনেক খারাপ। হৃদয় মাটিতে লুটিয়ে পরল, সবাই এমন দৃশ্য দেখে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে কাঁপতে শুরু করল। তারপর ওই বখাটেগুলো বলল...
–যদি কেসটা না উঠিয়ে নিস তাহলে একে একে সবাই মারা পড়বি। কথাটা খুব ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নে..
এটা বলে সবাই চলে গেল। সবাই হৃদয়কে ধরাধরি করে আইসিইউতে নিয়ে যায়। ডাক্তার তাড়াতাড়ি এসে চিকিৎসা শুরু করে দেয়... হৃদয়ের অবস্থা অনেক সিরিয়াস।
একদিকে জান্নাতের অবস্থা খারাপ অপরদিকে হৃদয়ের সিরিয়াস অবস্থা। কি করবে সবাই ভেবে পাচ্ছেনা। এমন সমন ইব্রাহিমের বাবা বললো..
–এসব বখাটে ছেলে পেলের সাথে লাগা আমাদের মোটেও ঠিক হয়নি। ইব্রাহিম তুই থানায় গিয়ে কেস টা উঠিয়ে নিয়ে আয়..
ইব্রাহিম কি করবে বুঝতে পারছে না তাই আংকেল এর কথা শুনে ইব্রাহিম থানায় গিয়ে কেসটা উঠিয়ে নিয়ে আসে।
হৃদয় অপারেশন শেষ কিন্তু এখনো জ্ঞান ফেরেনি। অনেক রক্ত ঝরেছে তাই অবস্থা অনেকটাই খারাপ। হৃদয়ের মা-বাবাকে হৃদয়ের এমন অবস্থা জানানো হয়নি কারণ হৃদয়ের মা বাবা এসব জানতে পারলে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে।
সবাই অনেক চিন্তায় আছে। ডাক্তার সবাইকে বললো..
–দেখেন রোগীর অবস্থা অনেক খারাপ।কখন কি হয়ে যাবে কিছু বলা যাবেনা। রোগীর জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারবোনা।
–এটা কি বলছেন ডাক্তার! হৃদয়কে যে করে হোক সুস্থ করে তুলতে হবে...
–সরি আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
সবার মাথায় হাত। হৃদয়ের মা বাবাকে না জানিয়ে আর থাকতে পারছে না কেউ। ইব্রাহিমের বাবা হৃদয়ের বাবাকে ফোন করে সবকিছু খুলে বলে আর তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিরাজগঞ্জ চলে আসতে বলে।
হৃদয়ের মা-বাবা সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি করে সিরাজগঞ্জ চলে আসে। তারা এসে দেখতে পায় নি হৃদয় আইসিইউতে একটা জীবন্ত লাশ হয়ে শুয়ে আছে। হৃদয়ের মা অনেক কান্না করছে। হৃদয়ের বাবা সবাইকে বলছে..
–আমার ছেলের এত বড় ক্ষতি কে করলো?
–যে ছেলেগুলো মিম কে ধর্ষণ করেছে তারাই (ইব্রাহিম)
–দাঁড়াও তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা আমি করছি।
তাই বলে হৃদয়ের বাবা কাকে যেন একটু ফোন করল..
–হ্যালো! সবুজ ভাই! আমার অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে গেছে। কিছু গুন্ডা আমার ছেলের অবস্থা অনেক খারাপ করেছে। আমার ছেলেকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। এখন আমার ছেলে আইসিইউতে ভর্তি আছে বাঁচবে কিনা মরবে আল্লাহই ভাল জানে।
–(ওপাশ থেকে কি যেন বলল তারপর হৃদয়ের বাবা বলল)
–আচ্ছা আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিরাজগঞ্জ চলে আসেন। আমি এর শেষ দেখতে চাই...
তাই বলে ফোনটা কেটে দেয়।
আপনাদেরকে হৃদয়ের বাবা সম্পর্কে তো কিছুই বলিনি। এখন হৃদয়ের বাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
[ হৃদয়ের বাবা একজন বিজনেসম্যান। ব্যবসার কাজে অনেক বড় বড় লোকজনের সাথে উঠাবসা করে। সমাজের সকল লোকের সাথেই তার ভালো সম্পর্ক। এখন যাকে ফোন করল সে হচ্ছে ঢাকার একটি গ্যাং লিডার। হৃদয়ের বাবার বিভিন্ন কাজের জন্য সবার সাথে সম্পর্ক রাখতে হয় তাই এই লোকটির সাথে ওর সম্পর্ক আছে।]
কয়েক ঘন্টা পর ওই লোকগুলার সিরাজগঞ্জ এসে পৌঁছায়। তারপর লোকজনদের বখাটে ছেলে পেলে ডিটেলস বলা হয়। তারপর লোক গুলো সেই বখাটে ছেলে পেলে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
অনেকক্ষণ পর ওই লোকগুলো রাত ৮টার দিকে সবার মাঝে ফিরে আসে আর বলে...
–আমাদের কাজ শেষ। কাল সকালে সবাই সব দেখতে পারবেন। আচ্ছা শহিদুল সাহেব(হৃদয়ের বাবা) আমাদের কাজটা শেষ আমরা তাহলে আসি। আবার দেখা হবে ভালো থাকবেন আর আশাকরি আপনার ছেলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
–ঠিক আছে সবুজ ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তারপর লোকগুলার চলে যায়। সবাই শুধু ভাবছে কাল সকালে তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। কারণ তারা কেউ জানেনা বখাটেদের সাথে কি হয়েছে।
দেখতে দেখতে সকাল হয়ে গেল। টিভিতে নিউজ হচ্ছে..
–সিরাজগঞ্জ কিছু বখাটে ছেলেদের লাশ পাওয়া গেছে। তাদের লাশ গুলো উলঙ্গ অবস্থায় সবার লিঙ্গ কাটা অবস্থায় একটা গাছে উল্টা করে ঝুলানো ছিল। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে এই বখাটেগুলো কাল একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে তারপর তাদের নামে থানায় মামলা করা হলে তাঁরা মামলা কারির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করে। এখন সে হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছে।
সবাই এমন খবর দেখে অনেক হতভম্ব। কাল রাতে যে এতো কিছু হয়ে গেছে তারা সবাই ভাবতেও পারেনি। সত্যি ধর্ষকদের শাস্তি এমনই হওয়া উচিত। যাতে করে কেউ দ্বিতীয়বার আর কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাতে না পারে।
পরদিন বিকাল চারটায় হৃদয়ের জ্ঞান ফেরে। জ্ঞান ফিরতেই সবাই হৃদয়ের কাছে ভিড় জমায়।
সবাই অনেক খুশি কারণ হৃদয়ের জ্ঞান ফিরেছে। হৃদয় মা-বাবা হৃদয় কি বলে..
–বাবা কি করে চিন্তা করিস না তুই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবি।
–বাবা জান্নাত এর কি খবর এখন?
–জান্নাত এখন ভালো আছে। তুই একটু নিজের চিন্তা করো। আর তুই একটা মেয়ের জন্য এতো রিক্স নিতে গেলে কেন? যদি আজ তোর কিছু একটা হয়ে যেত তাহলে আমরা কী নিয়ে বাচতাম?
–মা বাবা! আমার কিছুই হবে না আমি জানি কারণ তোমাদের দোয়া সব সময় আমার সাথে আছে। আর জান্নাত কে আমি নিজের থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসি তাই ওর জন্য এটুকু করা আমার কাছে কিছুই না।
–তুই সত্যিই অনেক বড় একটা পাগল।
–হ্যাঁ আমি তো পাগলই। শুধু জান্নাতের জন্য। আচ্ছা ওই বখাটে ছেলেদের কেউ খবর এখন? পুলিশেরা কি ওদেরকে গ্রেফতার করছে?
–ওদের অবস্থা শেষ। ওর আর কেউ বেঁচে নেই..
–কিহ্! কি হয়েছে ওদের আর কিভাবে হইছে?
–তোর ওসব না জানলেও চলবে।এখন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো আমরা আর কিছু চাইনা।
–ঠিক আছে বাবা।
তাখন হাসপাতাল একটি আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দেখতে দেখতে কিছুদিন কেটে যায়। হৃদয় এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে। হৃদয় তার মা-বাবাকে জান্নাত কে বিয়ে করবে এমন কথা জানায়। হৃদয়ের বাবা বলে..
–তুই জান্নাত কে বিয়ে করবি? কিন্তু ও যে এখন সমাজের মুখে খারাপ হয়ে গেছে..
–বাবা জান্নাত যে ধর্ষিতা হয়েছে সেটা নিজের দোষে না তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমি জান্নাত কে অনেক ভালোবাসি। জান্নাত কে ছাড়া আমি বাঁচবো না। আর জান্নাতের জন্য আমি এত কিছু করলাম কিন্তু শেষে এসে তাকে পাব না এটা তো কিছুতেই হতে পারে না। আমি যদি বিয়ে করি তাহলে জান্নাত কেই করব।
হৃদয় এমন মন্তব্য শুনে তার বাবা আর কিছু বলতে পারল না। হৃদয়ের বাবা জান্নাতের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালো। সবাই বিয়েতে রাজি হয়ে গেল কারণ সবাই দেখেছে হৃদয় জান্নাত কে কতটা ভালোবাসে।
আজ হৃদয় আর জান্নাতের বিয়ে। খুব ধুমধাম করে বিয়েটা হয়ে গেল। ইব্রাহিম হৃদয় কে বলছে..
–দোস্ত আমি ভুল ছিলাম রে। আমাকে মাফ করে দিস। আমার জন্য তুই অনেক কষ্ট পেয়েছিস। আমি চাইছিলাম না আমাদের বন্ধুত্ব টা কোন কারণে ভেঙে যাক।যদি আগে আমার বোনকে বিয়ে করতে হয়তো বের কর তোদের মধ্যে ঝগড়া হতো রাগারাগি হতো আর তখন আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারতাম না তখন তোর সাথে আমার সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যেত আর আমি আমাদের এই বন্ধুত্বটা নষ্ট করতে চাইছিলাম না। তাই আমি তোকে নিষেধ করেছিলাম। আমাকে মাফ করে দিস দোস্ত। আর আমার বরের খুব যত্ন নিবে। যদি কোনদিন আমার বোনের চোখে এক ফোটা জল আসে তাহলে তোকে খুন করে ফেলবো।
–এই বোকা! তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তুই ভাবতে কিভাবে তোর সাথে আমার সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে? জান্নাত কে তো আমি আমার নিজের থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসি তাই ওকে কষ্ট দেওয়া তো অনেক দূরের কথা ওকে রাগতে পর্যন্ত দেবনা।
–আয় দোস্ত বুকে আয়।
তারপর দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়। এ কান্না কষ্টের কান্না না সুখের কান্না। তারপর হৃদয় ইব্রাহিমকে ছাড়িয়ে বলে..
–এই শালা তোর বোন অপেক্ষা করছে আমার জন্য। বাসর রাত তো পেরিয়ে যাবে..
–হারামি! তুই এতদিন আমাকে শালা শালা বলে চালাতে আর আজকে আমি সত্যিই তো শালা হয়ে গেলাম।
–হ্যাঁ! আমি বোধহয় আগে থেকেই জানতাম রে তুই আমার শালা হবে তাই আগে থেকে তোকে শালা বলে ডাকতাম।
–হৃদয়!!!!!
–হয়েছে দোস্ত আর বলিস না আমি বাসর ঘরে গেলাম..
–আচ্ছা যা। আর কথাটা মনে রাখিস আমার বোনের চোখে যদি কোনদিন জল আসে তাহলে তুই শেষ..
–ঠিক আছে দোস্ত।
তারপর হৃদয় বাসর ঘরে ঢোকে। ঘরের ভেতর ঢুকে দেখেন জান্নাত বিছানার উপর ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। হৃদয় আজ থেকে ঘোমটা টা উঠিয়ে জান্নাতের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে..
–ইস! কি সুন্দর তুমি। সত্যি তোমাকে দেখে চোখ ফেরানো দায়।
–তাই বুঝি!
–তাইতো। না হলে কি আমি তোমার প্রেমে পড়ি?
–কই তুমি তো আমাকে না দেখে ভালবেসেছিলা! তাহলে এখন এই কথা বলছে কিভাবে?(একটু রাগ করে)
–রাখছো কেন! আমি তো এটা কথার কথা বললাম। সত্যি আমার বউটাকে একদম পরীর মত দেখতে লাগছে..
–হুম জানি সেটা.. এখন নতুন কিছু বলো..
–নতুন করে কি আর বলব। শুধু একটা কথা জেনে রাখ আজ থেকে ম্যাচ শুরু। আমি একবারে ক্রিকেট টিম বানিয়ে তারপর থামবো।
–কি! তুমি কি আমাকে মেরে ফেলবে?
–কি বলো জান! তোমাকে মেরে ফেলব কেন?
–তাহলে ক্রিকেট টিম বানাতে চাচ্ছে আমার কষ্ট হবে না?
–আজ সেসব পরে দেখা যাবে এখন আজকের ম্যাচটা শুরু করি..
–যা দুষ্টু!
–আয় হায় আমার লজ্জাবতী লতা..
তাই বলে জান্নাত কে ধরে ওর ঠোটে আমার ঠোঁট লাগিয়ে দেই...
এরপর আস্তে আস্তে বাকি কাজ শুরু হয়ে যায় আমাদের ক্রিকেট টিম তৈরি করার জন্য। আপনারা এখন আসতে পারেন।কারণ এখন আমরা যা করতে যাচ্ছি সেসব আপনাদেরকে দেখাতে পারব না।
সমাপ্ত
ধন্যবাদ! আমি আনন্দিত যে আপনি গল্পটি পছন্দ করেছেন। আমি চেষ্টা করব যেন আপনার জন্য আরও ভাল গল্প লিখতে পারি। আপনি কি কোনও বিশেষ ধরনের গল্প চান? যেমন—রোমান্স, অ্যাডভেঞ্চার, মিস্ট্রি, বা অন্য কিছু? আমাকে জানান, আমি আপনার জন্য একটি নতুন গল্প লিখতে প্রস্তুত!
Post a Comment